টেকনাফ প্রতিনিধি::
টেকনাফ উপজেলায় ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য হয়ে গেছে। শিক্ষা জীবনের প্রথম আসর ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক না থাকায় লেখাপড়া, পরিচালনাসহ সার্বিক ব্যবস’াপনায় চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে সহকারী শিক্ষকগণ স্কুলগুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকা স্কুলগুলোর মধ্যে ৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১১টি নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো হচ্ছে, টেকনাফ পৌরসভার বার্মিজ স্কুল, সেন্টমার্টিনদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক স্কুল, দক্ষিণ শীলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঙ্গীখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হোয়াইক্যং নাইক্ষ্যংখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দৈংগাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাটাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলো হচ্ছে হরিখোলা, উঞ্চিপ্রাং, নয়াপাড়া, জাদিমুরা, কছুবনিয়া পাড়া, আলী আকবর পাড়া, রোজার ঘুনা, মহেশখালীয়াপাড়া, সুফিয়া কমিউনিটি, নোয়াখালীয়া পাড়া ও চান্দলীপাড়া।
স্কুল সূত্রে জানা যায়, অবসরগ্রহণজনিত কারণে ৮টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তা পুরণ হয়নি। অপরদিকে নতুন জাতীয়করণকৃত ১১টি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে প্রয়োজনীয় যোগ্যতাসমপন্ন শিক্ষকের অভাবে পদগুলো পুরণ করা যাচ্ছে না। দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ এবং পদোন্নতি বন্ধ থাকায় পদগুলো বছরের পর বছর ধরে শূন্যই রয়েছে। অভিভাবকমহল কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়ার স্বার্থে এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স’ানীয় এমপি আলহাজ আবদুর রহমান বদি সিআইপির আন্তরিক প্রচেষ্টা ও তৎপরতা কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার বিদ্যালয়গুলোতে যে-শিক্ষক সংকট রয়েছে এবং যে সমস্ত স্কুলগুলোতে প্রধান শিক্ষক নেই, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আমরা প্রতি মাসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রিপোর্ট পাঠাই। শিক্ষক নিযোগের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, কিছু কিছু স্কুলে প্রধান শিক্ষকদের যোগ্যতা না থাকার কারণে আমরা সহকারী শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালিয়ে যাচ্ছি। আবার এমন কিছু শিক্ষক রয়েছেন, তাদের সুবিধার জন্য তারা বদলি অর্ডার এনে অন্য স’ানে চলে যান। এভাবে বছরের পর বছর আমরা শিক্ষক সংকট নিয়ে দিন পার করছি।
পাঠকের মতামত